স্টাফ রিপোর্টার: মানুষকে যথাযথ ভূমি সেবা প্রদান করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত গণকর্মচারীদের উদ্দেশে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আপনাদের প্রতি আমি আপিল (অনুরোধ) করছি, জনকল্যাণে যথাযথ ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করুন; একইসাথে সতর্কও করছি যেন এর ব্যত্যয় না হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ভূমি ভবনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে আয়োজিত ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থা সমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভূমি মন্ত্রণালয়ের গণকর্মচারীদের প্রতি এই আহ্বান ব্যক্ত করেন।

ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

ভূমি আপীল বোর্ড, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) – আজ আই চারটি দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে ভূমিমন্ত্রীকে সচিত্র ব্রিফ করেন।

ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী একটা মিশন নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন; তা হচ্ছে দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিত করা। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করে এই মিশন পূরণ করতে আমি দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ। আমার বিশ্বাস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আমরা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যা চাচ্ছেন তা পূরণ করা সম্ভব।

ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সবার বেতন জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে আসে – বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, বিত্তশালী এবং বিত্তহীন সকল নাগিরকই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ট্যাক্স দেন। চাকরি করে নাগরিক সেবা দেওয়ার কর্তব্য যথাযথভাবে পালন না করার অর্থ হচ্ছে চাকরির উপার্জন হালাল না হওয়া।

মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এ বিষয়ে বিশ্বের কেউ দ্বিমত পোষণ করে না। দারিদ্র্য বিমোচন, নারী অধিকার নিশ্চিতকরণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিল্প ও খনিজ সম্পদ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে ভূমি প্রয়োজন। এজন্য টেকসই, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব ভূমি সংস্কার বাস্তবায়ন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অংশ।

ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, রূপকল্প ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর আলোকে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সবাই ভূমিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একযোগে কাজ করে যাবে। সচিব প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল গণকর্মচারীর পক্ষ থেকে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন এবং ভূমিমন্ত্রীকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email