জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন এবং তাপস কুমার দাসের শিক্ষা ছুটি বাতিলের দাবিতে দুপুর ১.০০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিস তালাবদ্ধ করে রাখেন৷ পরবর্তী বিকাল ৩.৩০ এর দিকে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে মিছিল নিয়ে সমাজ বিজ্ঞান সামনে তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের কুশপুত্তলিকা দহ করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ” স্বৈরাচার নিপাত যাক, আইন বিভাগ মুক্তি পাক; তাপসের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে ; সুপ্রভাতের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে ; সুপ্রভাতের চামড়া তুলে নিবো আমরা; তাপসের চামড়া তুলে নিবো আমরা ; আইন বিভাগের আয়নাঘর এবার তোরা বন্ধ কর ; সুপ্রভাত আর তাপস আর নয় আপোষ ;” সহ নানা স্লোগান দেয়

কুশপুত্তলিকা দহ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদাত কাভী বলেন, “আমরা বিগত ১১ তারিখ থেকে আন্দোলন করে আসছি এবং তাদেরকে চাকুরি থেকে অব্যহতির দাবি জানাচ্ছি। আজকের আন্দোলন অংশ হিসেবে আমরা তাদের কুশপুত্তলিকা দহ করেছি এবং আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে যতক্ষণ না তারা অব্যহতি নেয় ”

৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের দুই সহপাঠিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল এ সময় তাপস স্যারকে জানানো হলে তিনি তাদের কোনো রকম সহযোগিতা করেনি উল্টো তাদেরকে দুষ্কৃতিকারী, হিজবুত তাহরীর আখ্যা দেয়। এছাড়া সুপ্রভাত পাল ৫১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুলেছে। এ প্রক্ষিতে আমরা মনে করি তারা শিক্ষকতার যোগ্যতার হারিয়েছে এবং তাদেরকে চাকুরী থেকে অব্যহতির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, তাদেরকে দুষ্কৃতিকারী হিসেবে আাখ্যা দেওয়া, শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, টুপি, বোরকা ও পর্দা করলে তাদের নানা ভাবে হেনস্তা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে বিরুপ আচারন, পরিকল্পিতভাবে রেজাল্ট কমিয়ে দেয়া, সহ ১১ দফা অভিযোগে দুই শিক্ষকের চাকরি থেকে অব্যহতির দাবিতে ১১ আগস্ট থেকে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email