রাজিব হোসেন রাজন, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরের কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন সবজি ‘স্কোয়াশ’। এসডিএস এর সম্বনিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় প্রথমবারে মত বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াস চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছে কৃষক জামাল শেখ। অল্প খরচ, স্বল্পসময় অধিক উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা থাকায় খুশি এ কৃষক । তাদের দেখাদেখি এ অঞ্চলের অনেকে এখন সবজি চাষে আগ্রহ দেখিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মানিকনগর এলাকায় উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের এই ফসল দেশের মাটিতে চাষ করেছেন কৃষক জামাল শেখ। পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এসডিএস সম্বনিত কৃষি ইউনিটের এর সহযোগিতায় এই সবজি আবাদ করে মাত্র দুই মাসেই ভাল লাভের আশা করছেন তিনি। “ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে লাগানো স্কোয়াশে মাঠ ভরে গেছে। সামন্য কিছু টাকা খরচ হয়েছে এ সবজি চাষে। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছে। বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় তিন লাখ টাকার স্কোয়াশ বিক্রির আশা করছেন তারা। ”

জামাল শেখ জানান, আগে টমেটো, বাঁধাকপি ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ করে আসছেন । তবে তিনি এবার পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এসডিএস এর সম্বনিত কৃষি ইউনিটের পরামর্শ নিয়ে প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরে স্কোয়াশের বিষমুক্ত চাষ শুরু করে পেয়েছেন সফলতা। মালচিং পদ্ধতিতে মিস্টি কুমড়া বা লাউয়ের মতো করে ৪০ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করিয়েছেন। বপনের প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করেছে। স্কোয়াশ গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। পাতা, ডগা, কাণ্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে, এটি মিস্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াশ গাছ। মিস্টি কুমড়া গোল হলেও স্কোয়াশ দেখতে বাঙ্গির মতো লম্বা। কিন্তু স্বাদে ও পুষ্টিতে এটি মিস্টি কুমড়ার মতো। তবে মিস্টি কুমড়ার গাছ অনেক লম্বা হলেও স্কোয়াশের গাছ সর্বোচ্চ এক-দেড় ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই সবজি পাহাড়ি এলাকা এবং বিভিন্ন দেশে চাষ হলেও দেশের এই অঞ্চলে এটি একেবারেই নতুন। নিজের সফলতায় খুশি কৃষি উদ্যোক্তা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষক জামাল শেখের সফলতা দেখে এখন অনেকেই এ সবজি চাষে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা আগামীতে এ সবজির চাষাবাদ কথা জানান।

মানিকনগর এলাকার ফজলুল হক, রাজা শেখ জানান, এ সবজি চাষ খুব লাভবান। বাজারে চাহিদা বেশি। এ সবজি নিয়ে বসে থাকতে হয় না, সহজেই বিক্রি হয়ে যায়, তাই আমরাও আগামীতে এ সবজি চাষ করবো।

এসডিএস এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তফা কামাল জানান, “প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরের জাজিরার মাটিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও কম খরচে অধিক লাভের চাষ বলে ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে এই এলাকায় প্রচুর স্কোয়াশ চাষের প্রসার ঘটবে।”

এমটি/এআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email