জেলা প্রতিনিধি: বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা ও নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর তিনি এ সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগ পাঠিয়েছেন। অভিযোগে এসব হামলা বিচার দাবি করেন পঙ্কজ নাথ।
অভিযোগপত্রে পঙ্কজ নাথ উল্লেখ করেন, বরিশাল-৪ এ আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী আমরা তিনজন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রার্থিতা হারিয়েছেন। অথচ হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের রাজনৈতিক পদধারী কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত নির্বাচনী পরিবেশকে বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জের উলানীয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরীর নেতৃত্বে লালগঞ্জ বাজারে কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাম্মী আহমেদের পক্ষে মিছিল করে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) উলানিয়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা শাম্মী আহমেদের পক্ষে মিছিল নিয়ে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়, আমার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়।
পংকজ নাথ বলেন, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের ট্যাকের বাজারে সন্ত্রাসী বাহিনী ঝন্টু বেপারী, সালাউদ্দিন রাড়ী আব্দুল করিম কবির, তানভীর মীর, কাউসারসহ আরও ১৫/২০ জন মিলে আমার কর্মী অহিদ সরদারকে রক্তাক্ত জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ঈগল মার্কার অফিস ভাঙচুর করে।
একইদিন সন্ধ্যায় চর এককরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম তালুকদার, খোরশেদ বেপারী, জাহাঙ্গীর কমিশনার, আবুল হোসেন আকন, আওলাদ হোসেন আকন, মাজেদ তালুকদার, শাকিল বেপারী, রিপন জমাদ্দারসহ বেশকিছু সন্ত্রাসী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর এককরিয়া ইউনিয়নের দাদপুর তেমুহনি বাজারে নৌকার মিছিল করে। মিছিলে ঈগল মার্কার সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
বরিশাল-৪ আসনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ পত্রে আরও বলেন, রোববার সকালে হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে ঈগল মার্কার প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করার সময় সন্ত্রাসী বাহিনী জামাল ঢালী, রবি ঢালী, সালাউদ্দিন সালা, নিজাম, রফিক ঢালী, আফসার, বাবুসহ ৫০/৬০ জন হামলা চালায় এবং আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রামপ্রসাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সন্ত্রাসী বাহিনী বরিশাল-৪ আসনে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ নেই এমন একটি প্রতীকের পক্ষে শ্লোগান দিয়ে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদ জানান, শনিবারের ঘটনায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। রোববার ধূলখোলার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে হামলার খবর আমার জানা নেই।