শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সাহিত্য ও সংস্কৃতি কমিটির আহবায়ক প্রফেসর প্রদ্যুৎ কুমার দাস’র সভাপতিত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের উদ্দেশ্যে সোমবার স্মরণসভা এবং জুলাই গণঅভ্যূত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শরীয়পুর সদর থেকে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের অভিভাবকবৃন্দকে। আমন্ত্রিত শহিদ পরিবারের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, শহিদ মামুন মিয়া’র বাবা আঃ গনি মাদবর ও শহিদের মা; শহিদ রিয়াজুল তালকদারের মা, ছোটভাই ও রিয়াজুলের দুই সন্তান। অসুস্থতার কারণে শহিদ মনোয়ার হোসেনের পরিবারের কেউ উপস্থিত হতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহিদ পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন। তারা সরকারের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মোঃ ফজলুল হক তাঁর বক্তব্যে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ যেন পথ হারিয়ে না ফেলে, সে জন্য তরুণসমাজকে সতর্ক থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান। শহিদ পরিবারের যেকোন সহযোগিতায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে কলেজকে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠে রূপান্তর করার জন্য সাবার সহযোগিতা কামনা করেন। শহিদ পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক এবং অসুস্থ সদস্যদের চিকিৎসা বাবদ প্রতি পরিবারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন অধ্যক্ষ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস আলম করিব, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এমরান সরদার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বক্রিয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী শোভন, নাজির, সম্রাটসহ অন্যান্যরা স্মৃতিচারণ করেন। জুলাই মাসের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃকিত অনুষ্ঠান পর্বে শরীয়তপুর সদর থেকে যে ১২জন শাহাদাত বরণ করেছেন, তাদের পরিচয় সম্বলিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং যেসব গান আন্দোলনকে বেগবান করেছিলো, কলেজের নিজস্ব শিল্পীগোষ্ঠী সম্মিলিত কণ্ঠে সেসব গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ সঞ্চালনায় ছিলেন, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. অরেছুল আজম ।
এমটি/ এএটি