স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং শোভন কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক কনফারেন্সের ১১২ তম সভার সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি এ মন্তব্য করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা ভিত্তিক বাংলাদেশ এবং এরই আলোকে ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতির প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধাশীল বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশ আইএলও এর দশটি মূল কনভেনশনের মধ্যে আটটি এবং মোট ৩৬ টি আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানে কার্যকর উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার আইন সংস্কার ছাড়াও শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তায় এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম প্রবর্তন করেছে। এ সকল পদক্ষেপে সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও অন্যান্য অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। সরকার দেশের সকল নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান।
সরকারের শ্রমক্ষেত্রে সাধিত সংস্কারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন নিয়ন্ত্রণমূলক নেতিবাচক পদক্ষেপ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপকারে আসবে না। এর পরিবর্তে পণ্য ও সেবার বাজার সম্প্রসারণ, শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্ব, কারিগরি সহযোগিতা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
আলোচনা সভা ছাড়াও বুধবার সকালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রমিকবান্ধব নেতা হিসেবে অভিহিত করে শ্রমিক বান্ধব কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং উন্নত শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো গত এক দশকে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে বলে মন্তব্য করেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রম খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রমগুলোতেও কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কারসহ শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে শ্রমসচিব মোঃ মাহবুব হোসেন,জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সঞ্চিতা হকসহ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও সরকারের শ্রমখাত সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমটি/ এএটি