স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। থাইল্যান্ডের ‘র‌্যানং পোর্ট’ ও চট্টগ্রাম পোর্টের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে। দু’বছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুত দু’দেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে। ব্যবসায়িক কাজ দ্রুত চালু করতে পারব। বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ডে যেতে হয়। এতে জাহাজ চলাচলে সময় লাগে ২০/২২দিন। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় লাগবে ৩/৪ দিন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি’র সাথে মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রু) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সাক্ষাত শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয় সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব মিল রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছি। মায়ানমারের সংঘাত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সংঘাত ঝুঁকি পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোন প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর কিছ সদস্য এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোন সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুুত আছি। মায়ানমারের সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোন প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কোন খবর নেই।

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email