রাজিব হোসেন রাজন, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রথমবারের মত সুপারফুট বিটরুট চাষ করে তাকলাগিয়ে দিয়ছেন কৃষক রাজা শেখ। পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সম্বনিত কৃষি ইউনিট এসডিএস এর সহযোগিতায় বিনামূল্য বীজ দেয়া হয় তাকে, সময়মত ফল পাওয়া, বাজারে চাহিদা ও ভাল দাম পাওয়া খুশি এ বিটরুট চাষি।

শরীয়তপুরের জাজিরায় মানিকনগর এলাকার কৃষক রাজা শেখ, অনেকটা শখের বসে সুপারফুট বিটরুট নিয়ে আসেন এসডিএস এর কাছ থেকে। এর পর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ১৬ শতাংশ জমিতে বীজ বপন ও পরিচর্যা শুরু করেন তিনি। বীজ বপনের ৭০ দিনের মাথায় ফল বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়। এসব সবজি পাঠানো হয় স্থানীয় বাজারসহ জেলা শহর বাজার গুলোতেও। এ সবজি বাজারে উঠালেও সহজেই বিক্রি হয়ে যায়। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল।

প্রতিটি বিটরুটের গড় ওজন হয় ২৫০ থেকে আধা কেজি। এর মধ্যে ১০০ টাকা দরে ৩০০ কেজি বিটরুট বিক্রি করেছেন জেলার জাজিরা উপজেলার মানিক নগর এলাকার কৃষক রাজা শেখ। লাল টকটক বিটরুট চাষে রাজু শেখের সফলতা দেখে এখন অনেকে এ বিটরুট চাষ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ফলে অনেকে আসছে তার কাছ থেকে বিটরুট চাষের পরামর্শ নিতে।
শরীয়তপুর জেলায় এসডিএস সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় ১০ জন কৃষককে বিটরুট চাষ করানো হয়। আগামীতে এ পুষ্টিকর সবজি ব্যাপকভাবে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

কৃষক রাজা শেখ বলেন, বিটরুট চাষ করা অনেক সহজ। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জমি ৩-৪ বার চাষ দিয়ে শেষ চাষে সম্পূর্ণ সার ছিটিয়ে দিয়ে চাষ দিতে হবে। ৮-১০ দিন পর ১ কেজি বিটের বীজ ছিটিয়ে দিয়ে জমি হালকা করে মই দিতে হবে। জমি শুস্ক অবস্থায় ৩-৪ টি সেচের প্রয়োজন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষম হওয়ায় কীটনাশক স্প্রের প্রয়োজন হয় না। ৭০ দিন পর হতে বিট বাজারজাত করা যায়।

রাজা শেখের বিটরুটের ক্ষেত দেখতে এসে পাশের গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বেপারী জানান, এ বছর আমি মূলা, গাজরের চাষ করেছি কিন্তু বাজার দর ভালো না এবং চাহিদা কম। সেই তুলনায় বিটরুট প্রায় দ্বিগুন দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আমি মনে করি বিটের চাষ লাভজনক হবে এবং শরীরের জন্যেও বেশ উপকারী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর আমারও বিটরুট চাষ করার ইচ্ছা আছে।

এসডিএস এর সম্বনিত কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তফা কামাল জানান, নানা ধরনের রোগপ্রতিরোধ বিটরুটের জুস বেশ উপকারী।বিটে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার ও অন্যান পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বিটে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেএবং ক্যানসার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ঝুকি হ্রাস করে।

এমটি/ এআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email