স্টাফ রিপোর্টার: মাদকমুক্ত দেশ গঠনের জন্য সারাদেশে কিশোর-কিশোরী এবং তরুন-তরুনীদের খেলার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে পাশ কাটিয়ে খেলাকে রুদ্ধ করে মাঠে মেলা বসছে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে।

আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসক। অথচ ২৬ জানুয়ারি থেকে ফুটবল লিগের ঘোষণা দেওয়া থাকলেও এখন মাঠ না পাওয়ায় অনুপযুক্ত মাঠেই খেলতে হবে ফুটবলারদের। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে শরীয়তপুরবাসীর মধ্যে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অর্থায়নে সৌন্দর্য্যবর্ধন করা শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে এখন খেলার চেয়ে মেলার আয়োজনে তোড়জোড় চলছে।

অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদের। বরং খেলার মাঠে মেলা করার আয়োজন করতে পেরে যেন নিজেকে ধন্য মনে করছেন এই জেলা প্রশাসক। নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছিলাম, যখন শুনেছিলাম শরীয়তপুরে গত ১০ বছর ধরে মেলার আয়োজন হয় না। আশেপাশের জেলাগুলোতে নিয়মিত মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন পর হলেও এবার শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা।’

জেলা প্রশাসক যোগ করেন, ‘দেশব্যাপী মেলার আয়োজন হচ্ছে। এই স্টেডিয়াম ছাড়া শরীয়তপুরের আর কোথাও মেলার আয়োজন করার জায়গা নেই। তাই আমরা স্টেডিয়ামেই আয়োজন করছি।’ খেলার মাঠে মেলা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, এখন কোন খেলা নেই শরীয়তপুরে। আমি নিজে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হিসাবে মেলার অনুমোদন দিয়েছি। তাছাড়া এখানে পাওয়া অর্থের একটি অংশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং আরেকটি অংশ শরীয়তপুরের খেলায় উন্নয়নের জন্য দেওয়া হবে।’

তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খেলার মাঠে মেলার ব্যাপারটি আমরা জানি না। শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে মেলা হওয়ার বিষয়ে আমার সঙ্গে কারো কথা হয়নি। এ বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

এমটি/ এএটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email